
যারা শিক্ষকতা পেশায় আসতে চান তাদের জন্য একটি অত্যন্ত খুশির খবর রয়েছে। আগামী বছর থেকেই যারা উচ্চমাধ্যমিকে পাস করবে তাদের জন্য চালু হচ্ছে এক নতুন ধরনের বিএড সিস্টেম যার নাম ইন্টিগ্রেটেড বিএড সিস্টেম। যারা বর্তমানে ক্লাস টুয়েলভে পড়ছে তাদের থেকেই এই পদ্ধতি আগামী বছর থেকে শুরু করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই পদ্ধতির দ্বারা একইসঙ্গে পরীক্ষার্থী গ্রাজুয়েশনের পাশাপাশি তার বিএড ডিগ্রি সম্পন্ন হবে। তবে এই কোর্সে ভর্তি হতে গেলে শিক্ষার্থীকে পেতে হবে উচ্চ মাধ্যমিকে 50 শতাংশ নম্বর। এই কোর্সটি হবে 4 বছরের। কোর্স শেষে শিক্ষার্থীকে দুটি সার্টিফিকেট দেয়া হবে একটি হলো তার গ্রাজুয়েশন সার্টিফিকেট এবং অপরটি হলো বি.এড সার্টিফিকেট। উক্ত দুই সার্টিফিকেট দিয়ে একদিকে যেমন শিক্ষার্থী যে কোন গ্রাজুয়েশন লেভেলের চাকরির পরীক্ষায় বসতে পারবে ল,তার পাশাপাশি শিক্ষকতা চাকরির যেকোনো পরীক্ষায় সে বসতে পারবে। তবে এখনো ইতিমধ্যে যারা বিএড করেননি, তাদের ক্ষেত্রেও কিন্তু সুযোগ রয়েছে বিএড করার। যারা বর্তমানে কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন তাদের ক্ষেত্রে পূর্বের নিয়ম পাঁচ বছর পর্যন্ত বহাল থাকবে। তবে এই যে নতুন বিএড পদ্ধতি তা 2014 সালেই অনুমতি দিয়েছিল এনসিটিই। কিন্তু পাঠক্রম তৈরি এবং পরবর্তী উচ্চ শিক্ষার যে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রভৃতি বিভিন্ন দিক বিবেচনা করতে গিয়ে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এই কোর্সে শিক্ষার্থীকে ভর্তি হতে গেলে শোনা যাচ্ছে তাদের প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসতে হতে পারে। তবে এ বিষয়ে এখনোই এন সি টি ই সরাসরি কিছু জানায়নি। এই কোর্স করতে কত খরচ হবে ; সে বিষয়েও এন সি টি ই কিছু জানায়নি, তবে তারা এটুকু জানিয়েছে যে এই কোর্সের খরচা আগের তুলনায় অনেকটাই কম হবে। এতদিন যাবত কোন একজন শিক্ষার্থীকে গ্রাজুয়েশন করার পরই বিএড করতে হতো কিন্তু এবার থেকে সেটা আর হচ্ছে না, তারা গ্র্যাজুয়েশনের সঙ্গেই বিএড করবে। আর সবথেকে বড় বিষয় এর আগে বিএড করতে শিক্ষার্থীর সম্পূর্ণরূপে সময় লাগতো গ্র্যাজুয়েশনের জন্য তিন বছর এবং বিএড এর জন্য দু বছর অর্থাৎ মোট পাঁচ বছর কিন্তু এবার থেকে মাত্র চার বছরের মধ্যেই গ্রেজুয়েশন এবং বিএড কমপ্লিট হবে।
No comments:
Post a Comment